করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯০) মহামারির প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে নানা আলোচনা ও গবেষণা হয়েছে। এখনো তা চলছে। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর বছর ২০২০ সালে চীনে যে ব্যাপক বন্যা হয়েছিল তার নেপথ্যেও এর পরোক্ষ ভূমিকা আছে।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশ পায়। সারাবিশ্বে লকডাউন, শাটডাউনে কল-কারখানা ও অফিস-আদালতে কাজকর্ম বন্ধ বা হ্রাস করা হয়। সেইসঙ্গে মানুষের চলাচল ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এসব কারণে দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশ চীনে দূষণের মাত্রা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। এতে ২০২০ সালে সেখানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়।
চীনের অতি বৃষ্টিপাতের কারণ খুঁজতে গিয়ে গবেষকরা দেখেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ও বিভিন্ন অ্যারোসলের মাত্রা হ্রাস পাওয়ায় উষ্ণায়ন কমেছে। ফলে বিশ্বের ওই অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। এভাবে করোনাজনিত লকডাউন ও শাটডাউন বৃষ্টিপাত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। চীনের পূর্বাঞ্চলে ২০২০ সালের জুন ও জুলাইয়ে ব্যাপক মাত্রার বন্যা দেখা দেয়।

গবেষকেরা বলেছেন, অতিবৃষ্টির এক-তৃতীয়াংশের পেছনে অবদান রেখেছে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস। চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপক এবং এই গবেষণার মূল লেখক ইয়াং ইয়াং বলেন, ‘অ্যারোসল নিঃসরণ কমার কারণে ভূমির উপরিভাগ উত্তপ্ত ছিল। আবার গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের কারণে সমুদ্র ছিল অপেক্ষাকৃত শীতল। ’

সূত্র : বিবিসি

 

কলমকথা/ বিথী